জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিভাগে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম বলেন,
‘ আমাদেরকে শুধু নিজেদের কথা চিন্তা করলে হবে না। আমাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ থেকে উঠে এসে কাজ করতে হবে। আমাদের চিন্তা করতে হবে কিভাবে আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করা যায়। আমাদের সামনে যে নির্বাচন সে নির্বাচনে যাতে আমরা আরো বড় ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারি। মানুষের সমর্থন নিয়ে। সেটাই আমাদের টার্গেট রয়েছে। এটার জন্য আপনাদেরকে সাংগঠনিক ভাবে আরো গুছিয়ে আনতে হবে।’
যুবলীগ করার জন্য শুধু আপনাদের শ্রম, মেধা আর সততা দরকার। যুবলীগ করার জন্য আপনাদের পকেটে হাত দিতে হবে না। কোন দুর্নীতি এই যুবলীগের মধ্যে আর জীবনেও হবে না। যতদিন আমরা যুবলীগে দায়িত্বে আছি। শুধু দরকার আপনাদের।’
২৮ নভেম্বর (রোববার) বিকেলে ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের সভাপতি আ. ম. ম টিপু সুলতান চৌধুরী।
প্রধান বক্তা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘এবারের যুবলীগ আগের মতো হবে না। টাকা দিয়ে পদ বিক্রি হবে না। নেতা হবে ত্যাগের তালিকা দেখে। তৃণমুল দলের প্রাণ। এদের যত্ন করে তুলে আনতে নেত্রী বলেছেন। আমরা মাঠে আছি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে। সব কমিটি গঠন করতে হবে। ’
তিনি দুই একদিনের মধ্যে বাঁশখালীর পূর্নাঙ্গ কমিটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি না থাকাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম বলেন, ‘আমরা তো সবকিছু দেখতে পারব না। কেন্দ্র থেকে তো ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে দেখা সম্ভব না। আমি হাইয়েস্ট উপজেলা পর্যন্ত যেতে পারব। তার বেশি আমিতো যেতে পারব না। ইনপক্ট আমার উপজেলা পর্যন্তও যাওয়া উচিত না। আমাদের জেলা পর্যন্ত থাকা উচিত। কিন্তু জেলাতে যদি কোন কিছু উলট পালট করে তখন তো আমাকে উপজেলা পর্যন্ত যেতে হবে।’
‘আপনাদেরকে একটা কথা মনে রাখতে হবে আমরা কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেন্স। আওয়ামী লীগ , যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ যত সংগঠন আছে সকল সংগঠন যদি শক্তিশালী হয় তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্তিশালী হবে।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ বলেন, ‘যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ আমাদেরকে যুবলীগের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাকে যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন। চট্টগ্রামের দায়িত্ব দিয়েছেন। এর একটি কারণ আছে। যুবলীগ যে অবস্থায় চলে গিয়েছিল। সে অবস্থা থেকে উত্তোলন ঘটিয়েছেন। আমাদের যে ইমেজ ক্রাইসিস ছিলো। সে ক্রাইসিস থেকে আমাদেরকে অক্সিজেনে ছেড়ে দিয়েছেন। নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য। সেই অক্সিজেনের নাম হলে শেখ ফজলে শামস পরশ।’
‘আমরা যুবলীগকে শক্তিশালী করার জন্য যা যা লাগে তাই করব। আপনাদেরকে আমরা ইনভলভ করতে চাই। জেলাকে আমরা ইনভলভ করতে চাই। আমরা ক্ষমতা দিতে চাই জেলাকে। যাতে জেলা উপজেলাকে ক্ষমতায়ন করতে পারে। উপজেলা ইউনিয়ন গুলোতে ক্ষমতায়ন করতে পারে। যাতে ইউনিয়ন ওয়ার্ডকে ক্ষমতায়ন করতে পারে।’
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ‘কোন ধরনের কেন্দ্র থেকে কমিটি নিয়ে আসা প্র্যাকটিস আমরা করি না। আমরা চাই জেলা কমিটি দিক। জেলা সুন্দর একটি কমিটি দিক। আমরা কেন কেন্দ্র থেকে কমিটি দেব। আমাদের তো কোন চয়েস নেই। জেলা যদি সুন্দর করে আমাদের একটি কমিটি গুছিয়ে দিতে পারে। তাহলে আমরা জেলার সাথে একমত হব। কিন্তু জেলা যদি কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকে তখন কিন্তু আমরা ছাড় দেবো না। আমরা তো আর বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি। আমরা উনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করব (ইনশাল্লাহ)।’
সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মোহাম্মদ মহি উদ্দিন, সহ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন মিন্টু, কেন্দ্রীয় সদস্য কায়কোবাদ ওসমানি, মো. মইনুল ইসলাম মামুন, মো. মুনায়েম খান, এস এম রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সুমন, রেজাউল করিম বাপ্পী।
বর্ধিত সভায় দক্ষিণ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের মোট ৮টি উপজেলার কয়েক শতাধিক ডেলিগেট উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।